কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে অভিনেতা নানা পাটেকরকে মুক্তি দিয়েছে পুলিশ। নানার বিরুদ্ধে আনা তনুশ্রী অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে নানার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ না থাকায় এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে আরও জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে তনুশ্রী দত্ত বলেন, ‘নানাকে ক্লিনচিট দেওয়ার ঘটনায় আমি এক্কেবারেই অবাক হইনি। কারণ আমরা ভারতীয় নারীরা এ ধরনের ঘটনায় অভ্যস্ত। এদেশে পুলিশ থেকে আইন ব্যবস্থা সবই দুর্নীতিগ্রস্ত। নানার বিরুদ্ধে এর আগেও বহু অভিযোগ এসেছে। এই মামলার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরাও সাজানো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ জানিয়েছে, গত ৭ মাস আগে তনুশ্রীর অভিযোগ ছিল, ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি গানের শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর তার গায়ে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি নানা পাটেকরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বীকার করেন এবং শুটিং সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের দিয়ে তার গাড়িতে নানা পাটেকর ভাঙচুর করান বলে অভিযোগ করেছিলেন তনুশ্রী। একই সময় মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাছে তনুশ্রীর দাবি ছিল, নানাকে বয়কট করা হোক।
নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে তনুশ্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেয় মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানার পুলিশ। মোট ১২ থেকে ১৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদের মধ্যে কেউই নাকি তনুশ্রীর সঙ্গে ঘটা এ ধরনের ঘটনার কথা মনে করতে পারেননি। কেউই তনুশ্রীর অভিযোগের সপক্ষে কোনো তথ্যই পুলিশকে দিতে পারেননি।
এদিকে তনুশ্রী দত্তর আইনজীবী এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, ‘আমরা এখনো আশা হারাচ্ছি না, যত সময়ই লাগুক না কেন অভিনেতা নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া, পরিচালক রাকেশ সাওয়ান্ত, প্রযোজক শামি সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো একদিন প্রমাণিত হবেই। পুলিশ কীভাবে একজন ব্যক্তিকে ক্লিনচিট দিতে পারে যখন অভিযোগ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল? এক্ষেত্র পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নানা পাটেকরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে আমরা উচ্চতর আদালতে আবেদন করব।’
কর্মক্ষেত্রে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে এই অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর যৌন হেনস্থার অভিযোগ দিয়েই বলিউডে #MeToo মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল।